মো:ফরহাদ,চট্টগ্রাম: সম্প্রতি পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের সম্মেলন নিয়ে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো:সাদ্দাম হোসেন তার ফেসবুকে বাস্তবভিত্তিক ও হৃদয়স্পর্শী কিছু কথা লিখেছেন যা ইতিমধ্যে সবার নজর কেড়েছে।পাঠকদের অনুরোধে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বারবাকিয়া ইউনিয়ন শাখার সম্মানীত কাউন্সিলরবৃন্দের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ রহিল-বর্তমান সময়টাতে নেতা নির্বাচন করা খুব কঠিন একটা কিছুই নয়-একটু ভেবে দেখুন অতীতের বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অনেক কমিটি ছিল,,,ঐ কমিটির কাউকে সাধারণ মুজিব সৈনিকদের পক্ষে থাকার দৃশ্য কখনো চোখে পড়েছে কিনা?
কখনো বড় কোন প্রোগ্রাম করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার হাতকে শক্তিশালী করা বা আপনাদের অধিকার আদায়ে কখনো রাজনীতির মাঠে-ময়দানে প্রতিবাদ বা পক্ষে কাজ করেছিল কিনা?
আমি হলফ করে বলতে পারবো আমার রাজনীতির প্রায় ১৫ বছরে আমি কখনো এমন দৃশ্য দেখি নাই।
কিন্তু এমনই দেখেছি কোন মুজিব সৈনিকদের সাথে বিএনপি-জামাতের সাথে কোন সমস্যা হলে, আমাদের নেতাদের থেকে থানায় সুপারিশ যায় ঐ বিএনপি-জামাতের পক্ষে, যার পিছনে থাকে বা হাতের কাজ।
কথায় আছে,,,
*একজন নেতার সাফল্যের ৯০% নির্ভর করে তার অনুসারীরা কি চায় – তা বোঝার ওপর”
*সত্যিকার নেতা হওয়া মানে অন্যদের সফল হওয়ার পথ করে দেয়া এবং তাদের সফল হতে দেখা”
*নেতা মানে যে অন্যদের মনে আশা জাগিয়ে রাখতে পারে”
কিন্তু বর্তমান সময়ে তার বিপরীত দৃশ্যটায় দেখতে পায়।
এমন নেতা নির্বাচন করুন,-যিনি আপনার পক্ষে লড়তে পারবেন,সাধারণ মুজিব সৈনিকদের অধিকার আদায়ে সব সময় সোচ্চার থাকবেন,,,,আপনার বিপদে বা আপনার ছেলের চাকরির ডিও লেটারের জন্য এম.পি মহোদয়ের কাছে নিয়ে যেতে অবৈধ কোন লেনদেন হবেনা।যিনি আপনার ছেলের ছাত্র রাজনীতির অবস্থা বুঝে ছাত্রলীগ ভাইদের পক্ষে থাকবেন। যাকে রাত ০১/০২/০৩ টায় আপনাদের বিপদে পাশে পাবেন।যিনি রাজনীতির মাঠ কাঁপিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার হাতকে শক্তিশালী করার চেষ্টায় থাকবেন।আপনারদের অধিকার আদাযে সোচ্চার থাকবেন।
আওয়ামীলীগের দুঃসমযের হরতাল, অবরোধে মাঠ কাঁপানো মুজিব রণাঙ্গনের সৈনিক, কারা নির্যাতিত নেতা, শ্রদ্ধেয় জনাব মুফিজুর রহমান ( Md Mafij ) হলেন বর্তমান পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বটবৃক্ষ, তিনি বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।আমরা ছোট বেলায় দেখতাম বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের অভিভাবক শ্রদ্ধেয় Abul Kashem চাচারদের সাথে একজন তুখোড় ছাত্রনেতা হিসাবে মাঠে থাকতেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন-যা এখনো চলমান।
তিনি ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম – আহ্বায়ক। তৎকালীন প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ছিলেন আজকের উপজেলা আওয়ামীলীগের অভিভাবক জনাব #আবুল_কাশেম কাকা।
একাধারে তিনি বারবাকিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন- আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করছিলেন।তাঁহাকে আপনারা যখন, যেখানে, যে অবস্থায় আপনাদের বিপদে ডাক দিয়েছেন তখনই ওনাকে পেয়েছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন পেকুয়ায় একমাত্র বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগই বর্তমানে করুন অবস্থা অতিবাহিত করছেন ঠিক তখনই তিনি আপনাদের দোয়া ও সমর্থনে বারবাকিয়ার হাত ধরার চেষ্টা করতেছেন।
সুতরাং আপনারা আগামী ইউনিয়ন সম্মেলনে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ রায় তাঁর পক্ষে দিয়ে আপনাদের অধিকার আদায় করে নিন।বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কে আবার চাঙ্গা করে তুলুন, বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার হাতকে শক্তিশালী করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ দিন।
জয় বাংলা,
জয় বঙ্গবন্ধু
মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন
যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,পেকুয়া উপজেলা শাখা।